Brands
Discover
Events
Newsletter
More

Follow Us

twitterfacebookinstagramyoutube
Youtstory

Brands

Resources

Stories

General

In-Depth

Announcement

Reports

News

Funding

Startup Sectors

Women in tech

Sportstech

Agritech

E-Commerce

Education

Lifestyle

Entertainment

Art & Culture

Travel & Leisure

Curtain Raiser

Wine and Food

YSTV

ADVERTISEMENT
Advertise with us

অভিষেকের Tootle App খুলে দিয়েছে কাজের বাজার

অভিষেকের Tootle App খুলে দিয়েছে কাজের বাজার

Saturday August 27, 2016 , 3 min Read

আপনি কি দারুণ কাজ জানেন? কোডিংয়ের কাজ, ওয়েব পাতা বানানোর কিংবা কনটেন্টের কাজ? ধরুন আপনি দারুণ লিখতে পারেন, ছবি আঁকেন কিংবা গ্রাফিক্সের কাজ জানেন কিন্তু একটা জিনিস জানেন না সেটা হল নিজের কাজের বাজার খুঁজতে পারেন না। নিজেকে বেচতে জানেন না। তাহলেও কুচ পরোয়া নেহি। 

আপনার প্রতিভার বাজার তৈরি করে দেবে টুটল। এটা একটা অ্যাপলিকেশন। হাইপার লোকাল অ্যাপ। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, tootle আপনাকে আপনার গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। সবটাই অনলাইনে, অ্যাপের মারফত। 

গ্রাহক আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর আপনি অফলাইনেই বুঝে নেবেন কাজ এবং কাজের মজুরি। tootle কেবল একবার মাত্র নেবে আপনার রেজিস্ট্রেশন ফি, আর আপনি পাবেন সারা মাস, সারা বছরের অনেক, অনেক কাজ। আবার গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে গেলে, দেখবেন কাজের সময় আপনি সঠিক লোকের হদিস পান না। ধরা বাঁধা চাকরির চৌহদ্দির বাইরেও কেজো লোকের বসে থাকার জো নেই। সবাই খুব ব্যস্ত। কাজের পিছনে ছুটছেন সকলে। ফলে আপনার দরকারে কাজের লোক নাও পেতে পারেন। ভালো কাজ জানা লোক পাওয়া এমনিতেই দুষ্কর। আপনার ছোটোখাটো থেকে পেল্লায় গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যে আপনি কার কার দরজায় যাবেন, বলুন তো! 

এখানেই tootle আপনার বন্ধু। সেই আপনাকে দেবে দক্ষ কাজের লোক। আপনার খুব কাছাকাছি যিনি আছেন। এবং যার হাত তুলনামূলক ভাবে একটু ফাঁকা। আপনি নিজেই দেখে নিতে পারবেন অন্য গ্রাহকরা তাঁর সম্পর্কে কী বলেছেন। কার কাজে কতজন কতটুকু সন্তুষ্ট তাও।

tootle এই স্টার্টআপ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অভিষেক গুপ্তা নিজে ইঞ্জিনিয়ার। পড়াশুনোর ফাঁকে ফাঁকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতেন। দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল রোজগার করার তাগিদ। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করতে করতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যন্ত্রণাগুলোও চোখে পড়ে অভিষেকের। ভাবতে থাকেন এই কাজটা কত ভালোভাবে করা যেতে পারে। জয়েন্টের প্রস্তুতির সময় রাজস্থানের কোটায় প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন অভিষেক। মামার উপদেশে কোটায় গিয়ে রোজগেরে হওয়ার কী প্রবল দৌড় দেখে এসেছেন অভিষেক। দেখেছেন সেখানে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা সবাই কিছু না কিছু করছে। ইন্টার্নশিপ, টিউশনি, পার্টটাইম চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং। সেই থেকে মাথায় ছিল টার্গেট অডিয়েন্স কারা হতে পারে তার ধারণা।

ফাইনাল ইয়ারে পড়ার সময় টুটল শুরু করেন। ছাত্রদের বাড়তি রোজগার পাইয়ে দেওয়ার প্রাথমিক তাগিদে শুরু হওয়া এই অ্যাপ দ্রুতই প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারে ভরে উঠেছে। এই অ্যাপের আইডিয়া ভালো লেগে যায় আরেক দক্ষ ফ্রিল্যান্সার সুদীপ্ত ভৌমিকের, যিনি নিজের সমস্ত কাজ ছেড়ে লেগে পড়েন অভিষেকের সঙ্গে। তিন এই সংস্থার চিফ টেকনিকাল অফিসার। অভিষেক সঙ্গে পেয়ে যান তাঁর দিদি সুমন অগরওয়ালকে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে টানা সাত বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে সুমনের। সেই অভিজ্ঞতা বাণিজ্যিক লাভ দিচ্ছে টুটলকে। ফলে তর তর করে এগোচ্ছে অভিষেকের বাণিজ্য তরী। পাশাপাশি কাজ পাচ্ছেন হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার। কাজ মানে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করার অস্ত্র। কাজ মানে একটা পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো। সেটা সম্ভব হচ্ছে দেখে অভিষেকের খুশির অন্ত নেই।